মালিক চিনা একজন মানুষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ।মালিক চিনল না তো সব শেষ। মানুষের অনেকেই শুভংকরের ফাঁকির মত ভুল মালিকের গোলামী করে জীবনের বিপর্যয় ডেকে আনেন!
জীবনের অন্তিম মুহূর্তে এসে দেখে সব শেষ। এতদিন তো ছিলাম ভুল মালিক নিয়ে! মালিকের দায়িত্ব তো কোন কিছুই পালন করলাম না!!!
তখন অনেক দেরী হয়ে যায়। আসল মালিকের সৈন্য এসে ধরে নিয়ে যায়। শাস্তি শুরু হয় দায়িত্বে অবহেলার জন্য। ছোটখাটো অবহেলা হলে হয়তো মালিক ক্ষমা করে দিতেন! কিন্তু এ-তো সবচেয়ে বড় অপরাধ। যে মালিক খাওয়াচ্ছে, পরাচ্ছে, শ্বাস প্রশ্বাস দিচ্ছে তারই পরিচয় জানলাম না!!!
মানুষকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা কোননা কোনভাবে তাঁর সাথে যুক্ত করে রেখেছেন। তাই চরম বিপদে ঘোর নাস্তিকও বলে ওটে “আল্লাহ বাঁচাও”।
পৃথিবীতে আমাদের এত এত অসুখ তার একটাই কারণ আমাদের রবকে সঠিকভাবে না চিনা!
আ’লেমরা বলেন, মানুষের সুখের মাত্রা নির্ভর করে তার রবকে চিনার উপর। আমরা যত রবকে চিনবো, মানবো তত সুখ, অন্তরের সুকন বৃদ্ধি পাবে! হৃদয় সবসময় সঠিক মালিকের সঠিক গোলামি খোঁজে।
হৃদয়ের এই হাহাকার আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না। তাই ভুল মালিকের আরাধনা করি, নয়তো সঠিক মালিকের ভুল পদ্ধতিতে গোলামি করি!
দুটোই আমাদের আত্মার খোরাক যোগাতে ব্যার্থ। এতে আমাদের আত্মা ক্ষুদায় কাতর হয়ে ক্লান্ত হয়ে কাঁদতে থাকে!!!
হৃদয়ের এই কান্নার ভাষা আমরা বুঝি না। তাকে ভুল ওষুধ দিয়ে আরো অসুস্থ করে ফেলি!!!!
শেষে হতাশা আমাদের নিত্য সঙ্গী হয়ে যায়। হৃদয়ের অসুস্থতা শরীরে চলে আসে। নানান রোগ শরীরে বাসা বাঁধে।
একদিন মৃত্যু চলে আসে! আত্মা কাঁদতে কাঁদতে হয়তো মালিককে অভিযোগ করবে “মালিক আমি কাঁদতে কাঁদতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। যে আমার খোরাক থেকে আমায় বঞ্চিত করেছিলো তার বিচার করেন”।
আমাদের এই ক্বলবের পরিচর্যা খুব বেশি প্রয়োজন। নইলে যে সুখ, সুকুনহীন এক জীবন পার করে অনন্তকালের দুঃখের মহাসাগরে পরে যাব!
আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন, যারা সঠিক মালিককে চিনে তাওহিদে ফিরে এসেছেন। তাদের জীবনবদলের গল্প শুনতে দেখতে পারেন “তাওহিদে ফেরার গল্প“।
এই সিরিজে রয়েছে অনুপ্রেরণামূলক ও ঈমান-জাগানিয়া গল্প যা মানুষের জন্মগত ফিতরাতকে জাগিয়ে তুলতে সহায়তা করবে।সর্বোপরি সকল সুখ প্রশান্তি রবের কাছেই বিদ্যমান তাই চলুন তার দিকেই ফিরে যাই ।আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা আমাদের মালিক চিনার ও মালিকের সঠিক গোলামী করার তৌফিক দান করুক আমিন।
ইয়া মুকাল্লিবাল ক্বুলুব ছাব্বিত ক্বুলুবানা আ’লা দ্বীনিক।
লেখকঃ রিজওয়ান জাহান তন্ময়